ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে এক উত্তরেই চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিরোধী হোক বা সমর্থক এটা সকলেই জানে যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ব্যাক্তিত্ব এমন যে যিনি নিজের প্রতিভা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত। যার কাজের প্রশংসা না করে থাকতে পারেন না দেশ তথা বিশ্বের তাবর তাবড় নেতারা। সম্প্রতি, বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এমনি একটা ঘটনার কথা সকলের সামনে তুলে ধরলেন। আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি গত এপ্রিল মাসে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি প্রথমে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রিন্স চার্লস ও মহারানী এর সাথে। তাদের সাথে সাক্ষাৎ করার পর তিনি চলে যান ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে। যেই সময় যখন তিনি থেরেসা মের সাথে দেখা করেন তখন এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল সেটা আপনাকেও অবাক করবে।

আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও থেরেসা মে যিনি ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তাদের মধ্যে যে মিটিং হবার কথা ছিল। মোদীজি ঠিক যে কারনে ইংল্যান্ড গিয়েছিল তার মূল কারন ছিল বিজয় মালিয়া। মূলত বিজয় মালিয়াকে নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কারন সেই সময় ইংল্যান্ড কোর্টে বিজয় মালিয়াকে নিয়ে একটা কেস চলছিল যেটা করা হয়েছিল ভারতের তরফ থেকে। তাদের দুজনের মধ্যে আলোচনার সময় থেরেসা মে বলেন যে বিজয় মালিয়া যদি অপরাধী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে রাখা হবে ইংল্যান্ড জেলে কারন তার বিচার ব্যাবস্থার সব কিছু হচ্ছে ইংল্যান্ড থেকে। আর আপনারা যদি চান যে বিজয় মালিয়াকে ভারতের কারাগারে রাখতে তাহলে ইংল্যান্ড থেকে আমাদের নিজস্ব আধিকারিক গিয়ে সেখানকার জেল দেখে আসবে, দেখে আসবে জেলের মান কেমন সেটার মান ইংল্যান্ডের মত উন্নত কিনা। তারপর ভারতে পাঠানো হবে বিজয় মালিয়াকে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব :

থেরেসা মে যখন এই কথা বললেন তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি যা জবাব দিলেন সেটা শোনার পর থেরেসা মে একদন চুপ করে যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেলেন যে, “আপনাদের কি প্রয়োজন আছে ভারতে গিয়ে সেখানকার জেল গুলি সার্ভে করার, সেখানকার সব জেল তো আপনারাই তৈরী করে দিয়ে এসেছেন। মহাত্মা গান্ধীর মত বড়ো বড়ো নেতাদের সেইসব জেলেই তো আপনারা বন্দি করে রাখতেন। সেই সময় মহাত্মা গান্ধীর মত বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে রাখতে আপনাদের কোনো রকম লজ্জাবোধ হয় নি। তাহলে এখন বিজয় মালিয়ার মত একজন ক্রিমিনাল কে সেই জেলে রাখতে কেন লজ্জাবোধ করছেন?

আপনারা জানলে সত্যি অবাক হবেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই কড়া জবাব দেওয়ার পরই একদম বাকরুদ্ধ হয়ে যান ইংল্যান্ড এর প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। আসলে থেরসা মে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এমন ব্যাবহার করতে চেয়েছিলেন যেন ভারত এখনো পরাধীন পিছিয়ে পড়া দেশ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার উত্তরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন যে ভারত একটা আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ তাই সেই দেশকে ছোট করে দেখার আগে যে কাউকে ১০০ বার ভাবতে হবে তাতে সে যত বড়ই দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হোক না কেন।
#অগ্নিপুত্র
Anandabazar Patrika

Comments

Popular posts from this blog

ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধীতা করতে যখন গরুর গাড়ি নিয়ে সাংসদে পৌঁছেছিলেন অটলজি। তখন যা ঘটেছিল…

India rag is a bengali web portal and they use source of Anandabazar Patrika and many site

মহিলাদের জন্য এক বিশেষ উপহার কেন্দ্র সরকারের..