কেন্দায় কয়লা চুরির নালিশ খনি বাঁচাতে টহল কর্মীদের

পরিত্যক্ত খনির আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে লাগোয়া বৈধ খনি। পরিত্যক্ত খনিটি বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেই সেখানে কয়লা চোরেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। ফের আগুন লেগে যাতে বৈধ খনিটি বিপজ্জনক হয়ে না ওঠে, সে জন্য জামুড়িয়ার নিউকেন্দায় পরিত্যক্ত খনিতে চুরি রুখতে পাহারা দিতে শুরু করেছেন খনিকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা।
মাসখানেক আগে ইসিএলের কেন্দা এরিয়ায় পরিত্যক্ত ওয়েস্ট কেন্দা খনিতে আগুন লাগে। তা লাগোয়া নিউকেন্দা কোলিয়ারির ৪ নম্বর খনিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল অব মাইনস সেফটি (ডিজিএমএস)-এর নির্দেশে কর্মীদের নিরাপত্তার কারণে খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিত্যক্ত খনির আগুন নেভাতে মাটি ভরাট করা হয়।
কিন্তু মাস ঘুরতেই পরিত্যক্ত খনিটিতে কয়লা চোরেরা অবৈধ খনন শুরু করেছে বলে অভিযোগ। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বন্ধ ৪ নম্বর খনির কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ওই পরিত্যক্ত খনির সঙ্গে চালু খনির কয়লাস্তরের যোগ রয়েছে। তাই পরিত্যক্ত খনির আগুন ছড়িয়ে যেতে পারে এই খনিতেও। তাতে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। বছর তিনেক আগে একই কারণে কোলিয়ারির ৩ নম্বর খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের দাবি, একই ভাবে ৪ নম্বর খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। তাই পরিত্যক্ত খনিটি যাতে বেআইনি খননের জেরে ফেল বিপজ্জনক না হয়ে পড়ে, সে জন্য পাহারা শুরু করেছেন তাঁরা খনিকর্মী ইন্দ্রজিৎ কৈরি, মহেন্দ্র ধোবী, রূপলাল সাউদের বক্তব্য, ‘‘১৯৯৫ সালে যখন ৩ নম্বর খনিতে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তখনও ৪ নম্বর খনি বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু এখন খানিক দূরে পরিত্যক্ত খনিতে আগুন লাগলেও খনি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই যাতে কোনও ভাবেই খনি বন্ধ করা না যায়, সে জন্য আমরা পাহারা দিচ্ছি।’’ সিটু নেতা মনোজ দত্তের অভিযোগ, ‘‘বৈধ খনির পাশে কয়লা চুরি হলে কোলিয়ারি বিপন্ন হবে। তাতে ইসিএল কর্তৃপক্ষ সহজেই খনিটি বন্ধ করে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে পারবে।’’ 

কেন্দা এরিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এমএন যোশী অবশ্য জানান, ডিজিএমএসের নির্দেশে ৪ নম্বর খনিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই খনিটি চালু করা হবে। ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, প্রশাসনের কাছে নিয়মিত তাঁরা অবৈধ খননের অভিযোগ জানান। এর আগে নর্থ সিহারশোলে অবৈধ খননের জেরে বিপন্ন হয়ে উঠেছিল বৈধ খনি। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষে ওই কোলিয়ারির ভূগর্ভস্থ খনি বন্ধ করে খোলামুখ খনি চালু করতে হয়েছে। ৪ নম্বর খনির কর্মীরা কোলিয়ারি বাঁচাতে যে পদক্ষেপ করেছেন, তা প্রশংসনীয় বলেও তাঁর দাবি। পুলিশ অবশ্য অবৈধ খননের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা না নেওয়ার কথা মানতে চায়নি। পুলিশকর্তারা জানান, কয়লা চুরি রুখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ।
Source-Ananbazar patrica

Comments

Popular posts from this blog

ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধীতা করতে যখন গরুর গাড়ি নিয়ে সাংসদে পৌঁছেছিলেন অটলজি। তখন যা ঘটেছিল…

India rag is a bengali web portal and they use source of Anandabazar Patrika and many site

Love Jihad - নতুন নতুন উপায়ে হিন্দু মেয়েদের শিকার করছে মুসলিম ছেলেরা !পড়ে অন্যদের সতর্ক করুন।